ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের জাটিয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য আবু তাহেরের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ঈশ্বরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তবে গ্রাম পুলিশের দাবি তুলে নিয়ে নয়, প্রেমের সম্পর্ক থেকেই স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের পানান গ্রামের ছেলে আবু তাহের। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সে প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করেন।
স্কুলের কাগজপত্রে ছাত্রীর জন্মতারিখ ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তবে ওই ছাত্রীর নামে গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নতুন জন্মনিবন্ধন ইস্যু করানো হয়। তাতে তার বয়স বাড়িয়ে দেখানো হয়। পরে ৭ ফ্রেব্রুয়ারি ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা ঈশ্বরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে স্কুলছাত্রী ও গ্রাম পুলিশ সদস্যের বিয়ের বিষয়টি নিয়ে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পানান গ্রামে সালিশ -বৈঠক হয়। সেখানে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার বাবা তার মেয়েকে উদ্ধার ও গ্রাম পুলিশ সদস্য আবু তাহেরের বিচারের দাবি জানান।
জাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল হক ঝন্টু বলেন, আবু তাহের এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করেছেন শুনেছি। তবে ছাত্রীর জন্মনিবন্ধন সনদ আমি দেইনি। সম্ভবত আমার স্বাক্ষর জাল করে সনদ করা হতে পারে।
আবু তাহের সাংবাদিকদের বলেন স্কুলছাত্রীর সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি ওই ছাত্রী বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে বলে আমাকে হুমকি দেয়। তাই আমি তাকে বিয়ে করেছি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্তারুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ঈশ্বরগঞ্জ ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান যদি প্রতিবেদন পাঠান, তাহলে ওই গ্রাম পুলিশকে বহিষ্কারসহ বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।