ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার দুই পারেই আটকা পড়েছে শত শত যাত্রীবাহী পরিবহনসহ অ্যাম্বুলেন্স। এতে করে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগী ও তাদের স্বজনরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি বন্ধ থাকায় চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে রোগীরা।
এদিকে নদী পার হতে না পারায় কান্না করছে রোগীর স্বজনরা। অনেক মূমুর্ষ রোগী রয়েছে যাদেরকে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে জরুরী চিকিৎসার নেওয়ার জন্য ঢাকাতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
৫নং ফেরি ঘাটে নদী পারের জন্য অপেক্ষায় থাকা চুয়াডাঙ্গা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ নাসির আহাদ জোয়াদ্দার বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আমার মেয়ে নাফিজা সিদ্দিকা জোয়াদ্দার এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। সে বেশ কয়েক দিন ধরে ভীষণ অসুস্থ। প্রায় সপ্তাহখানেক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে পাঠিয়েছে। আমরা রাতে ঘাটে এসেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত নদী পার হতে পারলাম না।'
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে আসা এ্যাম্বুলেন্স চালক আকরাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'ভোর রাতে রোগী নিয়ে এসেছি। রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু এখনো ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।'
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, দীর্ঘ নয় ঘণ্টা পর বেলা ১১টার দিকে কুয়াশা কমে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ্যাম্বুলেন্সগুলোকে নদী পার করানো হচ্ছে।