কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে মানবপাচারকারী চক্রের ৩ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছেন র্যাবের সদস্যরা। এ সময় এক নারীসহ ৩ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছেন তারা।
আটক তিন মানবপাচারকারীর কাছ থেকে ভুয়া পাসপোর্ট, ভুয়া কাগজপত্র এবং ৩টি কম্পিউটার, ২টি প্রিন্টার ও ১টি স্ক্যানার, ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ খবর জানান র্যাব-১১-এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব।
তিনি জানান, র্যাব-১১-এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধরকড়া বাজার এবং চিওড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মানবপাচারকারী চক্রের ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন—উপজেলার কাপড় চতলী গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে মো.আব্দুর রহিম ওরফে রুবেল (২৫), ডিমাতলী গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে কাজী ফয়সাল আহাম্মেদ রনি (৩২) এবং কাপড়চতলী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মো. নূরুল হক।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩ জন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী এবং দুই জন পুরুষ রয়েছেন।
মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব আরো জানান, আটককৃত আসামিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া পাসপোর্ট, পাসপোর্ট তৈরির ভুয়া জন্মসনদ, বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র এবং সার্টিফিকেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত ৩টি কম্পিউটার, ২টি প্রিন্টার ও ১টি স্ক্যানার, ৭টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৬০ হাজার ৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গা নারীর ভুয়া জন্মসনদ উদ্ধার করা হয়। যা দিয়ে ওই পাচারকারী চক্র ভুয়া পাসপোর্ট প্রস্তুত করে তাকে বিদেশে পাচার করার চেষ্টা করছিল।
নাজমুছ সাকিব আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা স্বীকার করেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবত কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের নানাবিধ প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।