ঘুষ ও গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) দিদার উল্ল্যাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কুলাউড়া থানা থেকে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
কুলাউড়া থানায় যোগদানের পর থেকেই উপ-পুলিশ পরিদর্শক দিদার উল্ল্যাহ আসামি আটক করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে বিলম্ব করতেন এবং ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে আসামিদের ছেড়ে দিতেন।
২০১৬ সালেও আটক বাণিজ্যের অভিযোগে দিদার উল্ল্যাহকে একই থানা থেকে প্রত্যাহার করে কমলগঞ্জ থানায় বদলি করা হয়।
এরপর ২০১৮ সালের শেষের দিকে আবারো কুলাউড়া থানায় উপ-পুলিশ পরিদর্শকের দায়িত্বে ফিরে আসেন তিনি। নতুন করে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গ্রেফতার বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি।
গত বছরের জুলাই মাসে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নে পারিবারিক বিরোধের জেরে হাজেরা বেগম নামে এক মাদাসা ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি রুহুল আমিন ৮ দিনের মধ্যে জামিনে বের হয়ে এসে দ্বিতীয় দফায় ওই ছাত্রীর মা-বাবাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা ফাতেমা বেগম রুহুল আমিনসহ তার পরিবারের লোকজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দিতে চান। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিদার উল্ল্যাহ অভিযুক্ত রুহুল জেলহাজতে রয়েছেন বলে অজুহাত দেখিয়ে মামলার এজাহারে তার নাম বাদ দেন।
এ ঘটনায় রুহুলের পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এসআই দিদার, এমন অভিযোগ করেন হাজেরার পরিবারের সদস্যরা।
সম্প্রতি মাদক মামলার মূল আসামিকে ধরে ঘুষের বিনিময়ে আবার তাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এসআই দিদারের বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে এসআই দিদার উল্ল্যাহর মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) রাতে বার্তা২৪.কম বলেন, এসআই দিদার উল্ল্যাহকে প্রত্যাহার করে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।