গাজীপুরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মুফতি কামরুল ইসলাম নুমানী জানাজা পড়ান।
জানাজার আগে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর কফিনের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান (গার্ড অব অনার) প্রদান করা হয়।
রহমত আলীর কর্মজীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করে গাজীপুরের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। পরিবারের পক্ষে রহমত আলীর ছেলে মো. জামিল হাসান দুর্জয় বক্তব্য দেন। জানাজার পর নেতাকর্মীরা কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
গাজীপুরে বেলা ১১টায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজ মাঠে। এরপর বেলা ৩টায় শ্রীপুরের মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজ মাঠে সর্বশেষ জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর ঢাকার পশ্চিম ধানমন্ডি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়, বাদ এশা ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের বায়তুল মামুর জামে মসজিদ ও সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, রোববার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহমত আলীর মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি। ডায়াবেটিকস ও কিডনির জটিলতাও তার ছিল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
অ্যাডভোকেট রহমত আলী ১৯৪৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বড়বাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো. আছর আলী আর মায়ের নাম শুক্কুরজান বিবি। রহমত আলী গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর-ভাওয়ালগড়-পিরুজালী-মির্জাপুর) আসন থেকে ১৯৯১ সাল থেকে দশম সংসদ পর্যন্ত টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন ইকবাল হোসেন সবুজের দখলে চলে যায়। তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের প্রবক্তা তিনি।
মৃত্যুকালে রহমত আলী দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার বড় ছেলে ড. জাহিদ হাসান তাপস যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক। আর ছোট ছেলে অ্যাডভোকেট মো. জামিল হাসান দুর্জয় গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক। তার একমাত্র মেয়ে রুমানা আলী টুসী একাদশ জাতীয় সংসদে ১৪ নম্বর সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য।