দিনাজপুরে চাঞ্চল্যকর ওয়াকিল উদ্দীন মণ্ডল হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ মো. আনোয়ারুল হক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার খয়েরবাড়ী (মির্জাপুর) গ্রামের মো. মোসলেম উদ্দিন (৪৫), একই এলাকার মো. জাফর উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বুলবুল (৩৯) ও মো. মামুনুর রশিদ মিলন (৩৫)।
মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই এলাকার মো. মজিবর রহমানের ছেলে সোহেল রানা বাবু (২৫)। অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মো. মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী মেহেরুনকে (৩০) খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিরামপুর উপজেলার মির্জাপুর খয়েরবাড়ী মৌজার একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকিল উদ্দীন মণ্ডলের ভগ্নিপতি মনজের আলীর সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলে আসছিল। ২০১১ সালের ২৫ জুন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মোসলেম, বুলবুল, সোহেল ও মিলন ওই পুকুরে বেআইনিভাবে মাছ ধরতে গেলে ওয়াকিল উদ্দীন বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা রামদা’, কুড়াল, হাঁসুয়া ও ছুড়ি দিয়ে ওয়াকিল উদ্দীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বিলকিছ বানু পরদিন বিরামপুর থানায় আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বিরামপুর থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রাজ্জাক মামলাটি তদন্ত করে আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে মামলার পাঁচ নম্বর আসামি মো. ময়েজ উদ্দীনের মৃত্যু হলে বিচারক তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. আজিজুর রহমান। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম সরকার।