নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোহাম্মদ রনি নামের এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে রনির পরিবারের একাধিক সদস্যকেও কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আড়াইহাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। মঙ্গলবার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ওই কলেজছাত্রের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
ভুক্তভোগী ও স্বজনদের দাবি, প্রায় ৮ বছর পূর্বে রনির বাবাকে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এক আসামিকে গ্রেফতার করায় বাদীপক্ষের উপর এ হামলা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। হামলায় আহত রনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ইয়ানুছ আলী, রাসেল, জুয়েল, জাকির, আলী হোসেন, হালিম ও আলামিনসহ ১৫ থেকে ১৬ জনের একটি দল বাদীর পরিবারের উপর হামলা চালায়।
এদিকে এ হামলার ঘটনার সময় কলেজছাত্র রনির এক হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে খবর ছড়িয়ে পরে। তবে বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রায় ৮ বছর পূর্বে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দি গ্রামে খুন হন রব মিয়া। এ হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় শনিবার মামলার এক আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। স্থানীয়দের দাবি এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়েই মঙ্গলবার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে বাদীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাদীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত করে দেখছি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
আহত রনির কবজি কেটে ফেলার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, কবজি কেটে ফেলার অভিযোগ সত্য নয়। রনি হাত দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে তার হাতের দুই আঙুলের মাঝখানে কেটে যায়।