গো-খাদ্য হিসেবে স্টেরয়েড জাতীয় খাবার বর্জন করে প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাভাবিক দানাদার খাদ্যের মাধ্যমে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের অঙ্গীকার করেছে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ইছলাবাড়ি গ্রামের অর্ধশতাধিক খামারি।
স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ উপায়ে গবাদি পশু উৎপাদন করে দেশের গো-মাংসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে খামারিদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন এ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইসলাবাড়ি গ্রামে জেলা প্রাণী সম্পদ দফতরের সহযোগিতায় আয়োজিত ব্যতিক্রমী গরু প্রদর্শনীতে এসব কথা জানান খামারীসহ সংশ্লিষ্টরা। এসময় আশপাশের এলাকা থেকে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ষাঁড় দেখতে ভিড় করেন প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনী শেষে আয়োজিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা, সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম উদ্দীন, দিঘাপতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার ওমর শরীফ চৌহান, কেয়ার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. ইমরান হাসান, এসিআই গোদরেজ কোম্পানির দেবাশীষ পাল, সালাউদ্দিন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন পাঠান প্রমুখ। পরে সেরা ৫টি গরু নির্বাচন করে খামারীদের পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রতি বছর শুধু কোরবানির মৌসুমেই নাটোরে প্রায় ৪ লাখ পশু কোরবানি হয়। এছাড়া সারা বছরই গো-মাংসের চাহিদা থাকে। তাই উদ্বৃত্ত পশুর জেলায় স্টেরয়েড ছাড়াই পশু পালনের মাধ্যমে নিরাপদ মাংস উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করা হবে। এ কাজে প্রাণী সম্পদ বিভাগের পাশাপাশি লাইভস্টকের উপর কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।