বগুড়ায় প্রকাশ্যে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে আপেল নামের এক বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একই সময় তার বড় ভাই বিএনপি কর্মী আল মামুনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে বগুড়া রংপুর মহাসড়কে সদর উপজেলার পাকুড় তলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিএনপি কর্মী সনি হত্যার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
নিহত আপেল (৩৫) বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয় কর্মী। তার বড় ভাই আল মামুন গোকুল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য।
জানা গেছে, আপেল ও তার বড় ভাই মামুন গরু কেনার জন্য বাস যোগে গোবিন্দগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পথে চন্ডিহারা বন্দরের আগে পাকুড়তলা নামকস্থানে গোকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা বাসটি থামায়। এরপর শতশত মানুষের সামনে বাসের ভেতর থেকে দুই ভাইকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে নেয়। তাদেরকে মহাসড়কের পার্শ্বে একটি লিচু বাগানে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আপেল মারা যায় এবং মামুনের শরীরে বিভিন্নস্থানে জখম করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন মামুনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
গোকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ বিপুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গোকুল হল বন্দরে মিজানের সহযোগী সনি খুন হয়। সনি হত্যা মামলার আসামি মামুন। এরপর থেকে মিজান গ্রুপের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব বেড়ে যায়। গত ২১ অক্টোবর মামুন আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে শহরের আটাপড়া এলাকায় তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে মিজান ও তার সহযোগীরা।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাস থেকে নামিয়ে নেয়া বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। তবে স্থানীয় লোকজন দুই ভাইকে সকালে মহাস্থান বন্দরে দেখেছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।