দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহত দুজনই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।
নিহতরা হলেন—গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর থানার মোহাম্মদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৮) ও ঘোড়াঘাট উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের হামিদ আলীর ছেলে ওয়াজেদ আলী (৩০)।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার শালখুড়িয়া ইউনিয়নের ছোট মাগুরা গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ সময় পুলিশের চার সদস্য আহত হন।
আহত চার পুলিশ সদস্য হলেন—নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিমেল মানিক, কনস্টেবল তুষার ও কাদের।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান জানান, গত মঙ্গলবার ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রফিকুল ও ওয়াজেদকে আটক করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের সঙ্গে নিয়ে ছোট মাগুরা গ্রামে অভিযানে যায় পুলিশ।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাতরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে রফিকুল ও ওয়াজেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের চার সদস্য গুরুতর আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের নিজস্ব হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
নিহত দুই ডাকাত সদস্যের নামে নবাবগঞ্জ থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। নিহত দুই ডাকাতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।