শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় আশুগঞ্জ ইউরিয়া সার কারখানা এখন আর হচ্ছে না। নরসিংদীর পলাশে বছরে ১০ লাখ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন একটি কারখানা হচ্ছে। যার কারণে নতুন আর কোনো সার কারখানা করার পরিকল্পনা এই মুহূর্তে সরকারের নাই।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানা পরিদর্শনে এসে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আশুগঞ্জ সার কারখানাটির যে নাজুক অবস্থা রয়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্য কারখানাটির নষ্ট ও পুরনো যন্ত্রপাতি পুনঃস্থাপন করা হবে। তারপরেও যদি কোনো পরিবর্তন না হয় সেই ক্ষেত্রে নতুন সার কারখানা স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে যাতে করে আমাদের কোনো ধরনের সার আমদানি করতে না হয় সেজন্য সকলকে দেশীয় সার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তাগিদ দেন তিনি।
কারখানায় নাইট্রোজেন কেনার নামে কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, এই অর্থ আত্মসাতের সাথে যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। এর সাথে আরো কারা কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন। এর সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদের চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সার নিয়ে যাতে পত্রিকায় লেখালেখি না হয় সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কৃষক যাতে সময়মত সার পায় সেজন্য সবাইকে সময়মত কাজে আসতে হবে এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. হাইয়ুল কাইয়ুম, আশুগঞ্জ সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব শাহ মুমিন, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার, আশুগঞ্জ সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এটিএম বাকি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাহমুদসহ আরো অনেকেই।