সাভারের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তার সহকারীকে এলোপাতাড়ি মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকের এক নারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে ভুক্তভোগী।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের আনন্দপুর এলাকার নিউ হোপ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার তদন্তকালে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী হলেন, ধামরাইয়ের ছয়বাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে লিটন মিয়া। তিনি সাভার মডেল থানাধীন দক্ষিণ দড়িয়াপুর সংলগ্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, সকাল ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো: সায়েমুল হুদা, স্যানেটারি পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হোসেন ও গাড়ি চালক মো. সেকেন মন্ডলসহ ঢাকা জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকের কার্যক্রম তদন্ত করতে যান। তদন্তের এক পর্যায়ে দুপুরে নিউ হোপ ক্লিনিকের কর্মকর্তা মাকসুদা বেগম শিখা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগালি করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে সে লিটনকে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পর মারে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। পরে সন্ধ্যায় সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন চিকিৎসক এর কাছে এ ধরনের অমানবিক আচরণ আশা করিনি। তাদের বৈধ কাগজপত্র আমাদের দেখাতে পারেনি। ওটি বিধিমোতাবেক ক্লিনিক পরিচালনা করার অধিকারও তারা রাখে না। তাছাড়া ক্লিনিকটি একটি আবাসিক বাড়ি বললেও ভুল হবে না। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানাকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।