গাইবান্ধা-৩ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২১ মার্চ। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি। এরপর থেকেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন তিনি। এ নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন শেষে নির্বাচনী প্রচারণা চালান উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
জানা গেছে, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনটি ছিল জাতীয় পার্টির দুর্গ। টানা ৬ বার লাঙ্গল প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির নেতা প্রয়াত ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী। এরপর দশম সংসদ নির্বাচনে আসটি দখলে নেয় নৌকা প্রতীক প্রার্থী প্রয়াত ডা. ইউনুস আলী সরকার। তিনি দ্বিতীয় বারের মতো একাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে ২৭ ডিসেম্বর ডা. ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যুর কারণে ফের এ আসনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপ-নির্বাচন।
এদিকে, আসনটি যেন আওয়ামী লীগের হাতছাড়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে ভোটের মাঠে নেমেছেন উম্মে কুলসুম স্মৃতি। সকাল থেকেই গণসংযোগে বের হন তিনি। এলাকার চলমান উন্নয়ন আরও বেগবান করতে ভোটারদের মাঝে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।
সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন, দেশে টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। এলাকার উন্নয়নের ধারা চলমান রাখতে এই দলেরই এমপি দরকার। অন্যথায় থমকে যেতে পারে উন্নয়ন কার্যক্রম। তাই দলমত নির্বিশেষে নৌকা প্রতীক
প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে।
প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। এবারের উপ-নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হলে সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে আমি বদ্ধপরিকর।’
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর মারা যান। পরে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। যার ফলে ২১ মার্চ উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আসনটিতে।
সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পলাশবাড়ী উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৯ ইউনিয়নের ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।