চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে আলমডাঙ্গা উপজেলার বন্ডবিল-মাদারহুদা সড়কে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীকে মারধর করে প্রায় ৩ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ডাকাত সদস্যদের অস্ত্রের আঘাতে আহত হয় ১জন গরু ব্যবসায়ী।
স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা গ্রামের ৮/১০ গরু ব্যবসায়ী কুষ্টিয়ার বালুপাড়া গরুর হাটে গরু বিক্রি করে রাতে লাটাহাম্বারে করে নিজ গ্রামে ফিরছিলেন। গরু ব্যবসায়ীরা আলমডাঙ্গা উপজেলার বন্ডবিল-মাদারহুদা সড়কের কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা একদল সশস্ত্র ডাকাতদলের কবলে পড়েন তারা।
ডাকাতির কবলে পড়া ব্যবসায়ীরা জানান, কবরস্থানের কাছাকাছি তাদের গাড়ি পৌঁছালে সড়কে গাছ ফেলে তাদেরকে ব্যরিকেড দেওয়া হয়। এরপর ১০/১২ জনের মুখোশধারী ডাকাত সদস্য সশস্ত্র অবস্থায় আমাদের জিম্মি করে বেদম মারপিট শুরু করে। এ সময় গরু ব্যবসায়ী নতিডাঙ্গার হাশেমের কাছ থেকে ৯০ হাজার, একই এলাকার শরিফের কাছ থেকে ১ লাখ ও তানশেলের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ঘটনার সময় ওই সড়ক দিয়ে যাওয়া বেশ কয়েকজন আলমসাধুর যাত্রীকেও জিম্মি করে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল লুট করে ডাকাত সদস্যরা। প্রায় আধা ঘন্টা ধরে ডাকাতি শেষে ডাকাত সদস্যরা চলে যায়। পরে ডাকাতির কবলে পড়া গরু ব্যবসায়ীদের চিৎকারে গ্রামবাসীরা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। এদের মধ্যে আহত এক গরু ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, ডাকাতির খবর পেয়ে রাতেই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের বেশ কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে ডাকাত সদস্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালালেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।