চার দিনে শেষ হলো রিফাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেষ সাক্ষী বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবীরের সাক্ষ্য গ্রহণ।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ করেন বিচারক মো. আসাদুজ্জামান।
এখন শুরু হয়েছে তদন্ত কর্মকর্তাকে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা। দুপুর তিনটার দিকে জেরা শুরু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয় তার সাক্ষ্যগ্রহণ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে আজকে পর্যন্ত এ মামলার ৭৭ সাক্ষীর মধ্যে ৭৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গোলাম সরোয়ার নামে একজন সাক্ষী প্রবাসে থাকায় তার সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারেনি আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে রোববার সকাল ৮টার দিকে বরগুনার জেলা কারাগারে থাকা এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। জামিনে থাকা মিন্নিও হাজির হন আদালতে। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষী দেন। এপর আসামিপক্ষের নয় আইনজীবী তাকে জেরা শুরু করেন।
তিনি বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা শেষ হলে যেসব সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তা আসামিদের শোনানো হবে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক শুরু করবে। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক শুরু করবে। এ ছাড়া মিন্নির জামিন বাতিল আবেদন শুনানির জন্য আদালতে সময় চেয়েছে আসামীরপক্ষের আইনজীবী মাহবুবু বারী আসলাম। তবে জেরা শেষ হতে বিকেল ৫টা বাজতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। গত ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক। পাশাপাশি রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয়জন আসামি জামিনে রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে।
প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন