সাত মাসে মিয়ানমার থেকে আসা ১ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে এ সব পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) পেঁয়াজের আমদানি অনেক বেশি বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানিতে ঝুঁকে ব্যবসায়ীরা। এরপর থেকে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি বাড়ছে। ফলে বন্দরে পেঁয়াজ খালাসে হিমশিম খেতে হয় সংশ্লিষ্টদের। তারপরও ট্রলার থেকে দ্রুত পেঁয়াজ খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি পেঁয়াজ খালাসের জন্য তৈরি করা হয় আলাদা জেটির ব্যবস্থা। তবে গত বছরের আগস্ট মাসে অল্প সংখ্যক পেঁয়াজ এলেও পরের মাস থেকে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি বেড়েই চলছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, ‘টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি অনেক বেড়েছে। মিয়ানমার থেকে চলতি অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে খালাস হয়েছে ১ লাখ ৭৭ দশমিক ৪৯৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। তবে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে এ পর্যন্ত ২০ দিনে ২৩ হাজার ৬০৩ দশমিক ৯৯৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস হয়। এছাড়া গত জানুয়ারিতে খালাস হয়েছে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন, ডিসেম্বরে ১৪ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন, নভেম্বরে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন, অক্টোবরে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ৫৭৩ মেট্রিক টন এবং আগস্টে মাত্র ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি এখনো অব্যাহত রয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়াতে পারে।’
ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি অর্থবছরে মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ এসেছে। যা অন্যান্য বছর এই ধরনের পেঁয়াজ আসেনি। তবে দেশে চাহিদার কারণে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি বাড়ছে। এসব পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহও করা হচ্ছে। যার কারণে পেঁয়াজের বাজার অনেকটা সহনশীল পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। যেহেতু পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য, সেহেতু পেঁয়াজ আমদানিতেও ঝুঁকি রয়েছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘চাহিদার কারণে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করে যাচ্ছেন। ফলে মিয়ানমারের পেঁয়াজের আমদানি এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ ট্রলার থেকে দ্রুত খালাস ও সরবরাহের ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’