সাভারের আশুলিয়ায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে অব্যবস্থাপনার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এসএসসি পরীক্ষার্থী আহতের ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া এলাকায় এই অবরোধ কর্মসূচী পালন করা হয়। প্রশাসনের আশ্বাসে ১ ঘণ্টা পর মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ওই এলাকার নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুতের তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায় জোনায়েদ হোসেন ইমন (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীর।
জোনায়েদ আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে। সে আশুলিয়ার কবিরপুরের অঞ্জনা মডেল হাই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসাবে পরীক্ষা দিচ্ছিলো।
বিক্ষোভকারীরা জানান, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া বাসস্ট্যান্ডে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে। এরই মধ্যে ফুটওভারের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে ফুটওভার ব্রিজের পশ্চিম ও পূর্ব উভয় পাশ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন রয়েছে। ফুটওভার ব্রিজে ওঠার পূর্ব পাশের সিঁড়ির উপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক লাইনের তাড় টানা ছিলো। তবে ফুটওভার ব্রিজের পূর্ব পাশের অংশ ছাউনি না দিয়েই কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ব্রিজের উঠার উভয় পাশের সিঁড়ি উন্মুক্ত রেখেই চলে যায় ঠিকাদার। পরে ওই ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে ইমন রাস্তা পারাপারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। সে এখন মৃত্যুশয্যায়, তার পরীক্ষা দেওয়া আর হলো না। এঘটনার বিচারের দাবিতে তারা মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
এব্যাপারে সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, আমরা ব্রিজটির দুপাশের মুখ বন্ধ রেখেছিলাম। কোনো কারণে খোলা হয়েছিলো। আমরা নিরাপত্তার বিষয়টিতে সবসময়ই সতর্ক অবস্থানে থাকি। ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। শীঘ্রই আহতের স্বজনের সাথে যোগাযোগ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক পবিত্র কুমার মালাকার বলেন, বিচারের আশ্বাস দিয়ে রাস্তা থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।