টাঙ্গাইলে লৌহজং নদী দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান নেমেছে প্রশাসন। অজ্ঞাত কারণে তিন বছর উদ্ধার কার্যক্রম স্থবির থাকার পর সরকারের নির্দেশনায় আবারও এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে সমন্বিতভাবে নদী দখল করে গড়ে ওঠা সাত তলা একটি ভবন উচ্ছেদ করে কার্যক্রম শুরু করা হয়।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে ঘটা করে সমন্বিত উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে লৌহজং নদীর দুই পাড়ে উদ্ধারে নামে কর্তৃপক্ষ। প্রায় দুই কিলোমিটার অংশের দু'পাড়ের অল্প কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর অজানা কারণে বন্ধ হয়ে নদী উদ্ধার কর্মসূচি।
এদিকে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নদীর দুই তীরের দশ মিটার বা ৩৩ ফুট করে দখলমুক্ত করার নির্দেশ থাকলেও মানবিক কারণ দেখিয়ে দুই তীরে ২০ ফুট করে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঢালান শিবপুর থেকে মির্জাপুরের বংশাই নদী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ। নদীটি শহরের অংশেই বয়ে গেছে প্রায় ১০ কিলোমিটার। আর এ ১০ কিলোমিটার অংশের দু'পাশে হাজার হাজার বাড়িঘর ও অবৈধ ভাবে স্থাপনা গড়ে ওঠায় দখল-দূষণে বর্তমানে সরু নালায় পরিণত হয়েছে। অথচ এক সময় এই নদী দিয়ে জাহাজ ও লঞ্চ চলতো শহরের আমঘাট পর্যন্ত। কলকাতা ও লন্ডনের সঙ্গে নৌপথে বাণিজ্যিক যোগাযোগ রক্ষায় লৌহজং নদীর ভূমিকা ছিলো অপরিসীম।