ফেনীতে নদী-খাল দখলমুক্ত করতে অবৈধ দখলকৃত স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে পরিচালিত অভিযানে সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের তুলাবাড়িয়া ও কালিদহ মৌজায় এবং শহরের দক্ষিণ পাশে খাজা আহমেদ লেকের পূর্বপাশে ২৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সারাদেশব্যাপী খাল ও নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এ অভিযান পরিচালনা করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলায় ৬টি নদীসহ প্রায় ৩শর অধিক খাল রয়েছে। দীর্ঘদিন এসব খাল ও নদী সংলগ্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পাকা বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি বাধাগ্রস্ত হয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় সড়ক, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যে কারণে দখলমুক্ত করতে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সারাদেশে অবৈধ নদী ও খাল দখল মুক্ত করতে অভিযান শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ফেনীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
তিনি আরও জানান, ক্রমান্বয়ে অবৈধ দখল মুক্ত করার এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। জলাশয় ও লেক দখলমুক্ত হলে স্থানীয়রা লেকের পানি কৃষিকাজে ব্যবহার করতে পারবে। এসময় তিনি অভিযানে জনগণের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান।
ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশরাফুল আলম গিটার বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি ফেনী জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান। পৌরসভার পক্ষ থেকে এ লেকের দুই ধারে গার্ডওয়াল ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম জাকারিয়া, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মৌমিতা দাশ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরুন্নবীসহ জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।