নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি জহিরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলার ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি জহিরুল ইসলাম রূপগঞ্জ থানার হিরনাল মাঝিপাড়া এলাকার মৃত. সাফর উদ্দীনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জের মাঝিপাড়া মাটির জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল মজিদ দেওয়ান ২০১৭ সালের ২৬ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে এশার নামাজ আদায় করছিলেন। নামাজরত অবস্থায় আসামি জহিরুল মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে ধারালো দা দিয়ে পিছন থেকে তার গলায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা ইমামকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, জহিরুল মসজিদের পাশে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়ালে তাতে বাধা দেন ইমাম আব্দুল মজিদ। এর জের ধরেই তাকে হত্যা করেন জহিরুল।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামির বিরূদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।