দ্বিতীয় দিনেও বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ

যশোর, দেশের খবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর) | 2023-08-18 10:58:12

দ্বিতীয় দিনেও বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি, রফতানি বন্ধ রয়েছে। তবে এ পথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বেনাপোল বন্দর এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান তাজিম জানান, বাণিজ্যিক সুবিধার্থে দুই পাশের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা কাগজপত্র প্রস্তুত করতে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সদস্যরা স্টাফ সদস্যদের বন্দরে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে আমদানি, রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশি ট্রাক চালকরা জানায়, ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় পাঁচ শতাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। পেট্রাপোল বন্দরেও একই অবস্থা।

বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বাংলাদেশ অংশে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে কাস্টমস ও বন্দরের সদস্যরা। কিন্তু ভারত অংশে বাণিজ্যিক সব কিছুতে তদারকি করে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। কোনো আলোচনা ছাড়াই বিএসএফের এমন সিদ্ধান্তে আমদানি, রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, কোনো আলোচনা ছাড়াই বিএসএফের এমন সিদ্ধান্ত বেআইনি। এতে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্য সচলের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাড়ে ৪শ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং দেড়শ থেকে ২শ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য উল্লেখযোগ্য। প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। একদিন বাণিজ্য বন্ধ থাকলে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় ব্যাহত হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর