ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মৃত্যুর পাঁচ মাস ২০ দিন পরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মোরশেদ আলম (৬১) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়তল্লা এলাকার একটি কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের বড়তল্লা এলাকার একটি পুকুরের মালিকানায় রয়েছেন মোরশেদ আলমসহ আরও অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন। ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর শনিবার ভোরে মাছ ধরা নিয়ে মোরশেদ আলমের সঙ্গে একই এলাকার ও পুকুর ইজারা নেয়া আজাদ, কামাল ও নুরু মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় হঠাৎ করেই মোরশেদ আলম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে ময়নাতদন্ত করতে বলেন। কিন্তু পরিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত করতে রাজি হয়নি। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করে পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনার ১১ দিন পরে নিহতের স্ত্রী নাছমিকা বাদী হয়ে একই এলাকার প্রতিবেশী হাজি কুতুব মিয়াকে প্রধান করে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৬-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত পুলিশকে প্রথমে মামলাটির দায়িত্ব দেন। পরে সব রকমের তথ্য উপাত্ত না পেয়েই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এরপর আদালত সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ তুলতে আদালতে আবেদন করে সিআইডি। আদালত ১৯ ফেব্রুয়ারি ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ তুলতে আদেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য, সিআইডি ও পুলিশের সামনে কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য জানান, আদালতের নির্দেশে মোরশেদ আলমের মরদেহটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।