বিএসএফ কর্তৃক বন্দরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে দুই দিন ধরে বন্ধ থাকা আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল করতে দুই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে কাস্টমস-বন্দর কর্তৃপক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর অডিটোরিয়ামে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বাণিজ্যিক কার্য সম্পাদনে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে কাস্টমস পারমিট নিয়ে যাতায়াতকারী সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। এতে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক(ট্রাফিক) মামুন তরফদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দীন। ভারতের পক্ষে ছিলেন, পেট্রাপোল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্রসহ ১১ ব্যবসায়ী নেতা।
বৈঠকে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা সীমান্তরক্ষী বিএসএফের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান এবং দ্রুত কিভাবে বাণিজ্য সচল করা যায় তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪ থেকে সাড়ে ৪শ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং দেড়শ থেকে ২শ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য উল্লেখযোগ্য।
প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। দুই দিন আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সরকারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় বিঘ্নিত হয়েছে।