বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ বলেছেন, ‘শ্রীমা সারদা দেবী ছিলেন ঠাকুরশ্রী রামকৃষ্ণের সহায়িকা শক্তি। সমাজের সর্বত্র মাতৃশক্তির জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। নারী শিক্ষা প্রসারে তার অবদান প্রশংসনীয়।’
‘সারদা দেবী বহু বছর ধরে রামকৃষ্ণ জননী রূপে সেবা ও আধ্যাতিক জীবনযাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন,’ যোগ করেন রীভা গাঙ্গুলী।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের ১৮৫তম জন্মতিথি ও বার্ষিক উৎসব উপলক্ষে সারদা দেবীর জীবন ও আদর্শ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রীভা গাঙ্গুলী বলেন, ‘আজ সারা বিশ্ব রামকৃষ্ণ মিশনের অবদান জানে। এ মিশনের উপদেষ্টা হিসেবে সারদা দেবী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিশ্বব্যাপী রামকৃষ্ণ মিশন অনুশীলন, শিক্ষা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, ত্রাণ, চিকিৎসা সেবাসহ সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে। বাংলাদেশের রামকৃষ্ণ মিশন ও কলকাতার বেলুর মঠ বিশ্বে ঐতিহ্য বহন করছে। স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তা ধারা ও আদর্শ উন্নত সমাজ গঠনে অনুপ্রাণিত করেছে। যশোরে রামকৃষ্ণ মিশনে সন্ন্যাসীদের জন্য একটি আবাসস্থল নির্মাণ করতে পেরে ভারত সরকার গর্ববোধ করছে। রামকৃষ্ণ মিশন যশোরের নিপিড়িতদের সেবায় অবিচল থাকবে।’
রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞান প্রকাশানন্দের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নি সাহা। আলোচক ছিলেন যশোর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক দীপ্তি মিত্র।