নাটোর লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে শাক তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত চম্পা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহত চম্পা বেগম ওই গ্রামের আখতার হোসেনের স্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চম্পা বেগমের মৃত্যু হয়। হামলায় অভিযুক্ত রুলি বেগমকে গ্রেফতার করেছে লালপুর থানার পুলিশ।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে দুড়দুড়িয়া পালপাড়া গ্রামের আক্তার হোসেনের স্ত্রী চম্পা বেগম বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে শাক তুলছিলেন। এসময় প্রতিবেশী মমজেদের স্ত্রী রুলি বেগম শাক তুলতে নিষেধ করেন চম্পাকে। এ সময় দুজনে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মমজেদ ও তার ছেলে রবি মারমুখী হয়ে লাঠি দিয়ে চম্পার মাথায় আঘাত করে। এ সময় চম্পার চিৎকারে তার ছেলে আকাশ ও স্বামী আক্তার এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষ রুলি, রবি, মমজেদসহ কয়েকজন তাদেরকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে।
পরে প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বুধবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় চম্পার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, এই ঘটনায় চম্পার ছেলে রাজন সন্ধ্যায় বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে লালপুর থানা পুলিশ আসামি রুলি বেগমকে গ্রেফতার করে।