স্বাধীনতার শপথ ভূমি মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগরের মতো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র দেশের আর কোথাও নাই। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা মুজিবনগরের উন্নয়নে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। দ্রুত উন্নয়ন এর কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের কুলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণ সংবর্ধনা ও জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস আলী।
মেহেরপুর জেলা ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন তুলে ধরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুজিবনগর বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী। এখানে যে স্থাপনাগুলো রয়েছে তার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষিত হচ্ছে। প্রতিদিন দেশের হাজার হাজার মানুষ এখানে দর্শনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারছেন। দর্শনার্থীদের আসা যাওয়ার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরের আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই আওয়ামী লীগের পতাকাতলে থাকব। কারণ, জামায়াত-বিএনপির আমলে দেশের কি অবস্থা ছিল তা সকলেরই জানা। মেহেরপুরের এমাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত রাত-বিরাতে চলতে আজকে আর কোনো ভয় নাই। আজকে প্রমাণিত হয়েছে মেহেরপুর শান্তির নীড়।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিটি স্কুলে নতুন ভবন দিতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় এই কুতুবপুরের স্কুলটিতে নতুন আধুনিক ভবন দেওয়া হয়েছে। এমন ভবন অনেক স্কুলেই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪৩টি রাস্তা পাকা করা হয়েছে।’
আগামী এক বছরের মধ্যে এই ইউনিয়নের (কুতুবপুর) কোন রাস্তা কাঁচা থাকবে না বলে ঘোষণা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দীন চুন্নু, বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহ জামাল, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খোকন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম ও কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার।
জনসভার আগে কুলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় ফরহাদ হোসেনকে।