মানব পাচারের দায়ে বিগত নয় বছরে টাঙ্গাইলে মামলা দায়ের হয়েছে ৫১টি। সবগুলো মামলাই বর্তমানে বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ১৮ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা জেলা শাখা এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
মানব পাচার প্রতিরোধ বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের উপায় বিষয়ক ফলোআপ আয়োজিত কর্মশালায় জানানো হয়, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫১টি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে ১৮টি। অভিযোগ পত্র দেয়া হয়েছে ৩০টি। তদন্তাধীন রয়েছে ৩টি এবং চার্জশিট দেয়া হয়েছে ১১টি ও সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে ১৯ মামলা।
সংস্থাটি জানায়, যেকোনো ঘটনার সাথে থানা, হাসপাতাল ও আদালত একে অপরের পরিপূরক। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি জীবনের নিরাপত্তা ন্যায় বিচার, সামাজিক সম্মানবোধসহ নানা কারণে থানা, আদালতের সম্মুখীন সহজে হতে চায় না। ফলে অপরাধীরা একই অপরাধ বারবার করতে থাকে। অন্য দিকে মামলার তদন্ত, চার্জশিট গঠনে দীর্ঘ সময়, সাক্ষ্য প্রদানে দীর্ঘ সময় বা সাক্ষ্য গ্রহণে অনীহার কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সময় লাগে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহ-সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা কাজী গোলাম আহাদ, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এস আকবর খান, জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আলো, সাধারণ সম্পাদক একেএম নাসিমুল আক্তার।
প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার এসএলএমএফটি আইপি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মোজাম্মেল হক। অ্যাডভোকেট আল রুহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উইনরক ইন্টারন্যাশনাল প্রসিকিউশন ম্যানেজার মোজাহিদুল ইসলাম।