স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়ার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দল বিব্রত। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দলের আগাছা পরিষ্কার অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু পাপিয়া নয় সকল গডফাদার-গডমাদারকে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনোভাবেই এসব কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া যাবে না।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা নতুন থানার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন ।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর পর চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সফলতার পরিচয় দিয়েছে। খুব দ্রুতই সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের জট খুলে এর মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।
মুজিব বর্ষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে বাম সংগঠনগুলোর আপত্তি ও হেফাজতের প্রতিহতের ঘোষণার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা চেতনার দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
দর্শনার নতুন থানা উদ্বোধনের পর তিনি আরও বলেন, সীমান্ত জেলা হিসাবে চুয়াডাঙ্গা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। দর্শনা তার মধ্যে অন্যতম। ইতিমধ্যে দর্শনাবাসীর প্রাণের দাবি দর্শনাকে থানায় রূপান্তরিত করা হলো। খুব শিগগিরই এটাকে উপজেলায় পরিণত করা হবে। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরেও রয়েছে বলে তিনি জানান।
থানা উদ্বোধনের পর চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ আয়োজিত জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী এক জনসভায় যোগ দেন মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে মন্ত্রীর হাতে ফুল দিয়ে জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত ৯০ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলি আজগর টগর, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খ: মহিদ উদ্দিন ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।