বগুড়ায় নব গঠিত খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ নিয়ে তোলপাড় চলছে জেলা বিএনপিতে। যাদেরকে নিয়ে এই পরিষদ গঠন করা হয়েছে তাদের অনেকেই বলছেন এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। অন্যদিকে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদকে ভুঁইফোঁড় সংগঠন উল্লেখ করে জড়িত ৫৮ জনকে শোকজ করেছে জেলা বিএনপি। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে। অনেক আবার পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে সংগঠনের সাথে জড়িত নাই মর্মে প্রচার করছেন।
জানা গেছে, কয়েকদিন হঠাৎ করে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ নামের একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ৫৮ সদস্যের এই কমিটিতে সভাপতি সোহেল শাহরিয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম পুটু। কমিটিতে সাত সদস্যদের একটি উপদেষ্টা পরিষদ ঘোষণা করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সকলেই জেলা বিএনপির সাবেক নেতা। ৫৮ সদস্যের এই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উপদেষ্টা পরিষদের অনেকেই চেনেন না। খালেদা জিয়া- তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ আত্মপ্রকাশ হলে জেলা বিএনপিতে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মুক্তির দাবীতে জেলা বিএনপি নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে আসছে। সেখানে এ ধরনের কমিটির কোন প্রয়োজন নেই।
এদিকে গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা বিএনপির পক্ষে যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদের ৫৮ জনকে শো-কজ করা হয়। এছাড়াও সংগঠনটি ভুঁইফোঁড় এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্য করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, তার সাথে কেউ আলোচনা করেনি এই পরিষদ গঠনের ব্যাপারে।
এছাড়াও তিনি পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তিনি চেনেন না বলে জানান।
উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা পাপন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমিও এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে সোহেল শাহরিয়ার নামের যাকে এই পরিষদের সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে তিনি বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি ভিডিও করতেন।
এদিকে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক লাপাত্তা হয়ে গেছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, এ ধরনের সংগঠনে কোন অনুমতি নেই কেন্দ্রের। ধান্দাবাজি করার জন্য এ ধরনের পরিষদের আত্মপ্রকাশ করে বিএনপির ভাবমুর্তি নষ্ট করা হয়েছে। কমিটিতে যাদের নাম আছে তাদের প্রত্যেককে শোকজ করা হয়েছে।