অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর অধীনে রাঙামাটিতে গ্রীজার বা সুকানী প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতা সনদ পরীক্ষা গ্রহণ এবং উত্তীর্ণদের অনুকূলে সনদ বিতরণ করেছে নৌপরিবহন অধিদফতর কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১ মার্চ) দুপুরে রাঙমাটিস্থ নৌপরিবহন অধিদফতর আঞ্চলিক নৌযান সার্ভে রেজিষ্ট্রেশন অফিসের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন অধিদফতরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন কেএম জসিম সরকার, নৌ পরিবহন অধিদফতরের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুল হাসান লিটন, পরীক্ষক ক্যাপ্টেন মো. মহিউদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার সিরাজুল ইসলাম, পরীক্ষক আবুল বাশার, মুখ্য পরিদর্শক শফিকুর রহমান, লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিমসহ গ্রীজার এবং সুকানী প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ডিসি বাংলা সংলগ্ন হ্রদে বোট দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে তাই সাথে সাথেই জরুরি মিটিং ডেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং অভিযানের মাধ্যমে বোটের ছাদ, লাইফ জ্যাকেট ইত্যাদি প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে।
এ সময় তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন প্রশিক্ষণটি যদি কর্মজীবনে কাজে লাগান তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর নিয়মিত অভিযান দিতে হবেনা। যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান, ধারণ ক্ষমতার চেয়েও বেশি সংখ্যক যাত্রী উঠলে সতর্ক করেন তাহলেই দুর্ঘটনা কমে আসবে। কারণ অভিযানের সময়েই বেশিরভাগ যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট পরিধান করে থাকে এবং নৌযান ছাড়ার পরপরই লাইফ জ্যাকেট খুলে ফেলে। তাই এ বিষয়ে আপনারা যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদেরকেই যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধানের বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে। আলোচনা সভায় গ্রীজার ও সুকানী প্রশিক্ষণে ৭০ জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে ও উত্তীর্ণদের সনদ বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়।