পানি শূন্য গড়াই, চলছে অটোরিকশা

রাজবাড়ী, দেশের খবর

সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী | 2023-08-28 23:05:33

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নারুয়া ও জঙ্গল ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা নদী গড়াই এখন পানি শূন্য। নদীর ওপর দিয়ে এখন চলছে অটোরিকশা ও ভ্যান গাড়ি। নদীর মাঝখানে স্থাপিত হয়েছে অস্থায়ী স্ট্যান্ড। সেখানে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় অর্ধশত অটোরিকশা। সেখান থেকে যাত্রী তুলে গন্তব্য পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।

এ বছর গ্রীষ্ম মৌসুম শুরুর আগেই পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বুকে এখন জেগে উঠেছে বিশাল চর। নদীর বুক এখন ধুধু বালুচরে পরিণত হয়েছে। এমনকি চরে কৃষক মসুর ও খেসারির ডালের চাষাবাদ করছে।

জেগে ওঠা চরে কৃষক মসুর-খেসারি ডালের চাষাবাদ করেছে

সরেজমিনে গড়াই নদীতে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির নদী এখন পানি শূন্য। নদীর সবটুকুই চর পড়ে গেছে। শুধু মাত্র কোন রকম পানির একটু ক্ষীণধারা রয়েছে। সেটুকু নৌকায় পার হচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা।

নারুয়া ঘাট পার হয়ে যারা মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন তারা নদী পার হয়ে নৌকা থেকে নেমেই নদীর চর পাড়ি দেওয়ার জন্য অটো রিকশা অথবা ভ্যানে করে শ্রীপুরের গোয়ালদা স্ট্যান্ডে যাচ্ছেন।

আর যারা মাগুরা থেকে রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে আসছেন তারা গোয়ালদা স্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশায় করে ঘাটে আসছেন।

নদীর সবটুকুই চর পড়ে গেছে

নদীতে গিয়ে দেখা যায়, জেগে ওঠা চরে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নারুয়া ও মাগুরার শ্রীপুরের মহেষপুর গ্রামের কয়েক শত কৃষক মসুর ও খেসারি ডালের চাষ করছেন। নদীতে জেগে ওঠা চরে এখন ফসলের সমাহার। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ফসলের চাষ হয়েছে।

জেগে ওঠা চরের ওপর অটোরিকশা স্ট্যান্ড পরিচালনাকারী মহেষপুরের সাদ্দাম হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবারই প্রথম আমরা নদীর মাঝে স্ট্যান্ড করেছি। নৌকা থেকে নেমে মালামাল নিয়ে চর পাড়ি দিয়ে গোয়ালদা স্ট্যান্ডে যেতে যাত্রীদের অনেক কষ্ট হয়। তাই যাত্রীদের কষ্টের কথা ভেবে আমরা এবার নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা চরে অস্থায়ী স্ট্যান্ড করেছি।

এখান থেকে প্রতিদিন ৪০-৫০ টির মতো অটোরিকশা চলাচল করে বলেও তিনি জানান।

বৃদ্ধা ও শিশুদের নদীর আধা কিলোমিটার চর হেঁটে যেতে অনেক কষ্ট হয়

নীলা নামের মাগুরার এক যাত্রী বার্তা২৪.কমকে বলেন, নদীর চরের ওপর স্ট্যান্ড হওয়ায় আমরা বেশ উপকৃত হয়েছি। নদীর আধা কিলোমিটার চর পাড়ি দিয়ে মালামাল নিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টের। তাছাড়া বৃদ্ধা ও শিশুদের চরে হেঁটে যেতে অনেক কষ্ট হয়। এরা জনপ্রতি ১০ টাকা করে নিচ্ছে। তাতেও আমরা খুশি।

নারুয়া কোনা গ্রামের কৃষক আরশেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, নদীতে এবার আগেই চর পড়ে যাওয়ায় আমরা বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করেছি। যে মসুর ডাল পাবো তাতে আমাদের সারা বছর চলে যাবে। অনেকে আবার বিক্রিও করতে পারব।

এ সম্পর্কিত আরও খবর