পটুয়াখালীর আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে চলছে হাইড্রোপনিক পদ্বতিতে মাটি বিহীন চাষাবাদ। গত কয়েক বছর থেকেই অনেকটা সফলতার সাথে বিভিন্ন ফল-ফুল এবং শাক সবজি উৎপাদন করা হয়েছে। তবে গবেষণা কেন্দ্রে সফলতা অর্জিত হলেও জেলার সাধারণ মানুষের কাছে এটি এখনও জনপ্রিয়তা কিংবা পরিচিতি লাভ করেনি।
মাটি বিহীন এই চাষাবাদ ছড়িয়ে দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও প্রদর্শনী করার কথা বলছেন ছাদ কৃষি নিয়ে কাজ করা সৌখিন কৃষকরা।
অধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন কমছে কৃষি জমি। এর সাথে জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রকৃতিক বিপর্যয় কৃষি ব্যবস্থাপনাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। তবে এর অন্যতম সমাধান হতে পারে হাইড্রোপনিক পদ্বতিতে চাষাবাদ। কোন ধরনের মাটির ব্যবহার ছাড়া গাছের প্রয়োজনীয় খাবার পানিতে দিয়ে তাতেই বিভিন্ন ফুল ফল এবং শাক সবজি চাষ করা হচ্ছে।
এর ফলে যারা ছাদকৃষিতে কাজ করেন তাদের কাছে এটি অনেকটা সহজ পদ্বতি হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা বিনিয়োগ করলে একটানা ৫ থেকে ৭ বছর অনেকটা নাম মাত্র খরচে ফলমূল আবাদ করা সম্ভব। এর ফলে ছাদে মাটি কিংবা সারের ব্যবহার করতে হয় না।
পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার লেবুখালীতে অবস্থিত আঞ্চলিক উদ্যান তত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জানান, হাইড্রোপনিক পদ্বতিতে ফুল ফল থেকে শুরু করে শাক সবজি চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জিত হয়েছে। এ ছাড়া মাটি বিহীন চাষাবাদের কারণে গাছে কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। এর ফলে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। এই গবেষণা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে তরমুজ, করলা, টমেটো, রেডবিট, ক্যাপসিকামসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদন হয়েছে।