প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন, তাই আমরা স্বপ্ন দেখছি। ইতিমধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার বাংলাদেশে আনার জন্য দেখা হয়েছে, সেটি নিয়ে কাজ করছি। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একদিন অ্যাটাক হেলিকপ্টার তৈরি করবে। তবে আজ না হোক একদিন আর্মি এভিয়েশনে অ্যাটাক হেলিকপ্টার তৈরি হবেই।
সোমবার (০২ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট বিমানবন্দরে আর্মি এভিয়েশন স্কুলের উদ্বোধন শেষে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, যুদ্ধকালীন সময়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অপারেশনে আর্মি এভিয়েশন প্রশিক্ষণের কাজ করতো। কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় সেনাবাহিনীর এভিয়েশন গ্রুপ আজ বেশ এগিয়েছে। প্রশিক্ষণ সুবিধা অর্জনের জন্য আর্মি এভিয়েশন স্কুলটি ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে স্থানান্তরের চিন্তা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমানে বিশ্বের উন্নতমানের ওয়ান সেভেন ওয়ান হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে। এভিয়েশন গ্রুপ এগিয়ে নিতে আরও ৬টি হেলিকপ্টার যুক্ত করা হবে। চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা, রেশন ও বিশেষ অপারেশনে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অ্যাটাক হেলিকপ্টারের জন্য বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। সেটি পেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
এ সময় সেনাপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনীর কোয়াটার মাস্টার লে. জেনারেল মো. সামছুল হক, এভিয়েশন গ্রুপ কমান্ডার মেজর জেনারেল আলমগীর হোসেন, মাস্টার জেনারেল অব অর্ডন্যন্স মেজর জেনারেল মো. আবু সাঈদ সিদ্দিক, রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
এরপর সেনাবাহিনী পরিচালিত লালমনিরহাটের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করে একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।