বগুড়ার ধুনটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ দুই জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইজুল নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধুনট বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার (২ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পূর্বের মারপিটের জের ধরে সোমবার সন্ধ্যার পর ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেনকে একা পেয়ে মারপিট করেন আওয়ামী লীগের এক গ্রুপের নেকাকর্মীরা।
এ খবর জানাজানি হলে আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপের কর্মী-সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে পৌর এলাকার পূর্ব ভরণশাহী এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলামের ব্যক্তিগত অফিসে হামলা চালান। তারা সেলিমের মোটরসাইকের ও অফিস ভাঙচুর করেন এবং তাকেও বেদম মারপিট করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শরিফুলকে উদ্ধার করে। এরপরও দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস ছাড়াও আশেপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আহত দুই জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআই নুরুন্নবী তারেক ও আওয়ামী লীগ দলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের মধ্যে প্রকাশ্যে গ্রুপিং চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। গ্রুপিংয়ের কারণে কিছুদিন আগেও দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। তারই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় সংসদ সদস্য গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা সেলিমকে মারধর করেন সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা। এর প্রতিবাদে সভাপতি গ্রুপের নেতা শরিফুলের অফিসে হামলা চালান সংসদ সদস্য গ্রুপের কর্মীরা।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। সংহিসতা এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।