ট্রাক থেকে মাটি পড়েছে পাকা সড়কে। বৃষ্টির পানিতে তৈরি হয়েছে কাদা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার লোকজন। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়ুপুকুরিয়া থেকে বামন্দী পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার সড়কে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, গাংনী উপজেলার জোড়ুপুকুরিয়া থেকে বামন্দী পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার কাদাপানিতে একাকার। কাদার কারণে যান চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন মোটরসাইকেলচালকেরা। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে তারা মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। যানবাহনের পাশাপাশি পথচারীদেরও চলাচলে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইটভাটায় মাটি বহনে রাস্তায় চলাচলের পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিভিন্ন ইটভাটার জন্য আবাদি জমি ও পুকুর খনন থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয়। অবৈধ যানবাহনে (ট্রাক্টর ও পাওয়ার ট্রিলার ট্রলি) ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অরক্ষিত অবস্থায় মাটি বহন করা হয়। এ বালু-মাটি উড়ে সড়কের পড়ার পাশাপাশি পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। ইটভাটা মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ মানুষ এ অবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে না।
জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মোকলেছুর রহমান বলেন, সকালে মেহেরপুর থেকে রাজশাহীগামী বিআরটিসি একটি বাস জোড়পুকুরিয়া বাজার মসজিদের পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ওপর আড়াআড়ি অবস্থান নেয়। এতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস বাসটি সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
শ্যামলী পরিবহনের চালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বামন্দী থেকে গাংনীর চোখতোলা মাঠ পর্যন্ত রাস্তার উপরে কাদা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ধীর গতিতে চালাতে হচ্ছে যানবাহন। চাকা পিছলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তেরাইল গ্রামের বাসিন্দা ও বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিলন হোসেন বলেন, হালকা বৃষ্টিতেই রাস্তায় কাদা জমে। এতে পথচারীদের মারাত্মক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুরা দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।
ফায়ার সার্ভিস রাস্তার কাদা সরিয়ে দেয়ার কাজ করছে উল্লেখ করে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে এলাকার মানুষের আরো বেশি সচেতন হতে হবে। আইন লঙ্ঘন করে কেউ রাস্তায় মাটি বহন করলে উপজেলা প্রশাসনে খবর দেয়ার পাশাপাশি এলাকার মানুষকে প্রতিরোধ করতে হবে।