চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ গ্রামে বায়নাপত্রের দাবিতে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। সম্পত্তি দখল করতে সোমবার বিকেলে ওই সম্পত্তির সীমানা দেওেয়াল ভাঙা ও গাছ কেটে ফেলা হয়।
ওই সম্পত্তির মালিক মনোয়ারা বেগমের স্বামী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার শ্বশুর আবদুল লতিফ মকিমাবাদ মৌজার বিএস ১১১৪ দাগের ১৯ শতাংশের অন্দরে (বাড়ি) সাড়ে চার শতাংশ ভূমি আমার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, তার ভাই সাইফুল ইসলাম ও কামাল হোসেনকে দান করেন। পরে ভাইয়েরা তাদের সম্পত্তিও বোন মনোয়ারা বেগমকে দান করেন।
ভোগ দখলে থাকা সম্পত্তি প্রসঙ্গে বিল্লাল হোসেন বলেন, সোমবার মকিমাবাদ গ্রামের মনজিল হোসেন মজুমদার নামে একজন অন্যান্য লোকজনকে সাথে নিয়ে উল্লেখিত ভূমির দেয়াল ভাঙচুর ও গাছ কেটে ফেলেন। ওই সম্পত্তির ওপর ঘর নির্মাণ করার জন্য বেশ কয়েকটি বাঁশের খুঁটি দিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, দাতাদের একজন সাইফুল ইসলাম উল্লেখিত ভূমি বিক্রি করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় মনজিল হোসেনের সাথে ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই একটি বায়নাপত্র হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বায়নার শর্ত অনুযায়ী বাকি টাকা পরিশোধ না করায়, বায়নাপত্রের মেয়াদ ওই বছরের ১৬ অক্টোবর শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু বৃদ্ধিকৃত মেয়াদের মধ্যেও বাকি টাকা পরিশোধ না করায়, শর্ত অনুযায়ী বায়নাপত্রটি বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। এর মধ্যেও এক বছর পার হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে মনজিল হোসেন বলেন, ভূমিদাতা সাইফুল ইসলামের সাথে বায়নাপত্র হয়। অজানা কারণে বায়নাপত্রের বাকি টাকা গ্রহণ করেননি সাইফুল ইসলাম। ওই সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দেননি। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিসহ স্থানীয় গণ্যমান্যদের অবহিত করেছি। তবে দেওয়াল ভেঙে গাছ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেন মনজিল হোসেন।
অপরদিকে মনোয়ারা বেগমের ভাই মো. সাইফুল ইসলাম সেলিম বলেন, মনজিল হোসেনেকে অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেননি, যার ফলে শর্ত অনুযায়ী বায়নাপত্রটি বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। আমি ও আমাদের পরিবার ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছি। তাই মনোয়ারা বেগমকে উল্লেখিত ভূমি দান করে দিয়েছি।