ফরিদপুরের নগরকান্দা ও ভাঙ্গায় শিলা বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ দিন পর পেঁয়াজ ঘরে তোলার কথা। শিলাবৃষ্টি চাষিদের সে স্বপ্ন নষ্ট করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) ভোরে হঠাৎ করে ঝড়োহাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়।
প্রায় আধাঘণ্টার শিলা বৃষ্টিতে নগরকান্দার চরযশোহরদী ও কোদালীয়া শহীদ নগর এবং পাশের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা পৌরসভা, হামিরদী ও ঘারুয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চরযশোহরদী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান জানান, ভোরে তার ইউনিয়নের ৩৬টি গ্রামে অন্তত ২০ মিনিট ধরে শিলা বৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নটি পেয়াজ অধ্যুষিত এলাকা। আজকের শিলা বৃষ্টির কারণে ইউনিয়নের প্রায় ২৩৪ একর জমির পেয়াজ বিনষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ১০ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে।
শহীদনগর ইউনিয়নের কৃষক ওবায়দুর জানান, তার দানা ও চারা পেঁয়াজের আবাদ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে।
কোদালীয়া শহীদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে তার ইউনিয়নের অন্তত ৫০ একর জমির পেঁয়াজ ও ২৫ একর জমির ইরি ধান বিনষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দানা বড় হয়ে যাওয়ায় সেগুলি হয়তো তুলে বিক্রি করা যাবে, কিন্তু এটি সংরক্ষণ করা যাবে না।
শিলা বৃষ্টিতে তার ইউনিয়নের কৃষকদের অন্তত এক কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের জুঙ্গুরদী গ্রামের কৃষক আলমগীর মোল্লা বলেন, শিলা বৃষ্টিতে তার সাড়ে তিন বিঘা জমির পেঁয়াজ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
বগাইল গ্রামের পেঁয়াজ চাষী শেখ শামীম জানান, আর ১৫-২০ দিন পর পেঁয়াজ ঘরে উঠানোর কথা। তার আগেই শিলা বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল।
বাইশাখালী গ্রামের পেঁয়াজ চাষী সৈয়দ আলী বলেন, শিলা বৃষ্টিতে আমার তিন বিঘা জমির পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে।
ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্লা জানান, ঘারুয়া ইউনিয়নে ব্যাপক পেঁয়াজ চাষ হয়। শিলা বৃষ্টিতে বামনকান্দা গ্রামের পেঁয়াজ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, শিলা বৃষ্টিতে ফরিদপুরের কিছু অংশে পেঁয়াজের ক্ষতি হয়েছে। ১৫০ হেক্টর জমির পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।