যশোরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ১৩তম সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) শহরের জাবির হোটেল ইন্টারন্যাশনালের কনফারেন্স রুমে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনদিনের সম্মেলনের প্রথম দিন সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিজিবি ও বিএসএফ একমত হওয়ার যৌথ ঘোষণা দিয়েছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবির দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জালাল গনি খান এনডিসির নেতৃত্বে ১৫ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন, যশোর রিজিয়ন ও রংপুর রিজিয়নের কমান্ডার, সেক্টর কমান্ডারগণ, বিজিবি সদর দফতর, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, ভারতের পক্ষে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী যোগেশ বাহাদুর খুরানিয়ার (আইপিএস) নেতৃত্বে ৮ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ও গোহাটি ফ্রন্টিয়ারের আইজি, সংশ্লিষ্ট ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজিরা, ফ্রন্টিয়ার ও সেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দিনের সম্মেলন শেষে বিজিবি দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জালাল গনি খান (এনডিসি) ও বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী যোগেশ বাহাদুর খুরানিয়ার (আইপিএস) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
এ সময় যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়- সম্মেলনে চোরাচালান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান, সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম, সীমান্ত উন্নয়ন, সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, নারী-শিশু পাচার রোধসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্মেলন শেষে আগামী ৮ মার্চ ভারতীয় প্রতিনিধি দল তাদের দেশে ফিরে যাবে।