গাজীপুরে কলেজছাত্র খুন, অভিযুক্তদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

গাজীপুর, দেশের খবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর | 2023-08-19 14:24:35

গাজীপুরে কলেজছাত্র নাঈম সরকার (২২) হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন উত্তেজিত জনতা।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর ভুরুলিয়া এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উত্তর পাশের সুন্দর আলী ড্রাইভারের দোতলা বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সুন্দর আলী হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত রানা ও রাজনের নানা হন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ বার্তা২৪.কমকে জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনে আসবাবপত্র ও মালপত্রসহ ওই বাড়ির ১২টি কক্ষ পুড়ে গেছে।

এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজন ও রানাসহ কয়েকজনের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান গাজীপুরের মডেল ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম সরকার। তিনি পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকার লোকমান সরকারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী মুন্না তার প্রেমিকাকে নিয়ে বেলা ১১টার দিকে কলেজের পাশের লালমাটি মাঠ এলাকার একটি বাগানে বসেছিলেন। কিছুক্ষণ পর সহযোগীদের নিয়ে প্রেমিকার দুই ভাই রাজন ও রানা সেখানে গিয়ে মুন্নাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে মুন্না তার বন্ধু নাঈমকে ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। পরে নাঈম এলে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির একপর্যায়ে নাঈম ও মুন্নাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান রাজন, রানা ও তাদের সঙ্গীরা। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা নাঈম ও মুন্নাকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক নাঈমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মুন্না গাজীপুরের বোর্ডবাজার পূর্ব কলমেশ্বর এলাকার নাজির হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনায় ইমন (২০) ও রানার বাবা টিপু সুলতানকে (৪০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনগণ। একই সঙ্গে রানা ও রাজনের নানার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিবারের সঙ্গে এ বাড়িতেই রানা ও রাজন বসবাস করেন।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়নি। নিহতের বাবা লোকমান হোসেন হত্যা মামলা করবেন। হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তবে তদন্তের স্বার্থে জড়িতদের নাম-পরিচয় প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করেছে পুলিশ।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর