গত ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। করোনা আতঙ্কে রাজবাড়ীতে দিন দিন কমছে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা। তাই বিক্রি কমে যাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন মুরগি ব্যবসায়ীরা।
বালিয়াকান্দির পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগের তুলনায় বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা অনেক কমেছে। ক্রেতার অভাবে বিক্রিও কমেছে। কিন্তু ক্রেতাদের বোঝা উচিত পোল্ট্রিতে করোনাভাইরাস থাকলে আগে ব্যবসায়ীরা আক্রান্ত হতো। কারণ, ব্যবসায়ীদের চব্বিশ ঘণ্টাই পোল্ট্রির সঙ্গে থাকতে হয়।
পোল্ট্রি ক্রেতা রিজু বলেন, ‘আগে ব্রয়লার মুরগি বেশি কিনতাম। কিন্তু যখন দেখলাম সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। তখন থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপাতত পোল্ট্রি আর কিনব না।’
হোটেল ব্যবসায়ীরা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আগে পোল্ট্রির চাহিদা ছিল বেশি। কিন্তু কিছুদিন ধরে হোটেলে এসে কেউ পোল্ট্রি খেতে চাচ্ছে না। তাই আপাতত আমরা মুরগির মাংস রান্না কমিয়ে দিয়েছি।’
রাজবাড়ী জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক সরদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘পোল্ট্রিতে কোনো ধরনের করোনাভাইরাসের তথ্য পাওয়া যায়নি। মানুষ ভুল বুঝছে। পোল্ট্রিতে যে করোনাভাইরাস নেই, সে ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করতে আমরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি।’
রাজবাড়ী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ব্রয়লার থেকে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে না। মানুষ থেকে মানুষে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে। আমাদেরকে আরও সচেতন হতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বিশেষ করে মাংস ও ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ করে তারপর সেগুলো খেতে হবে।’
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আতঙ্কিত না হয়ে এবং কোনো ধরনের গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে অধিক সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান এই চিকিৎসক।