কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে স্থাপিত স্মার্ট ডিজিটাল বর্ডার সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্যাল রেসপন্স সিস্টেম পরিদর্শন করেছে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
শুক্রবার (৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ সাবরাং বিজিবির চৌকি সংলগ্ন সীমান্ত ঘুরে দেখে এই প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আনসার ও সীমান্ত) মোহাম্মদ সাহেদ আলী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান, কক্সবাজার রিজিয়ন সদর দফতরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান, টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান, উপ-অধিনায়ক মেজর রুবায়াৎ কবীর, অপারেশন মেজর মোহাম্মদ আসাদ প্রমুখ।
এর আগে প্রতিনিধি দল টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন সদরদফতরে বর্ডার রেসপন্স সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ঘুরে দেখে। এ সময় টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, ‘প্রথম ধাপে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ থেকে সাবরাং পর্যন্ত বর্ডার সার্ভিল্যান্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য সীমান্তকে সম্পূর্ণ রূপে সার্ভিল্যান্সের আওতায় এনে সীমান্তকে সুরক্ষা করা। পাশাপাশি মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে এপারে প্রচুর মাদক ইয়াবা আসে, মানব পাচার ও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ হয় সেগুলো এখন আরও ইফেক্টিবলি প্রতিহত করতে পারব। আসলে সকলের সহযোগিতায় মিয়ানমার সীমান্ত আরও অনেক সুন্দরভাবে সুরক্ষা করা সম্ভব হবে। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রায় একটি মাইল ফলক।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আনসার ও সীমান্ত) মো. সাহেদ আলী বলেন, ‘সীমান্তে স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভিল্যান্স স্থাপিত প্রমাণ করে, এটি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। মূলত সরকার প্রধানের নির্দেশে সীমান্তে মাদক, চোরাচালান ও মানব পাচার রোধে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তাছাড়া এটি সীমান্ত সুরক্ষায় খুব কাজে আসবে। সীমান্ত সুরক্ষায় পর্যায়ক্রমে আমরা সব করব। এটা যদি ইফেক্টিভ হয়, এখান থেকে সুফল পাই তাহলে সমগ্র বাংলাদেশে এ ধরনের সার্ভিল্যান্স সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসব।’