ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এরশাদুল হক ভূঁইয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ গ্রহণ করতে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করে নিহতদের স্বজনরা। ম্যাজিস্ট্রেটে উম্মে ইসরাত আবেদন মঞ্জুর করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করার আদেশ দেন। পরে রাত সাড়ে ১০টায় শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। একটি হাইয়েছে করে সুনামগঞ্জ দিরাইয়ে পাত্রী দেখতে যাওয়ার পথে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের কান্দিগাঁও এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে মাইক্রোবাসটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জন ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো ২ জন মারা যায়।
নিহতরা হলেন- নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার দেলপাড়া এলাকার আব্বাছ উদ্দিন (৫০), তার বড় ছেলে ইমন হোসেন (২৫), ছোট ছেলে মাহবুব হোসেন রাব্বি (২১), একই উপজেলার ব্রাহ্মনগাঁও গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে মহসিন মিয়া (৫৭), পাশ্চিম দোলপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রাজিব হাসান (২৫), একই এলাকার গনি তালুকদারের ছেলে খলিল মিয়া (৩০), কুসুমবাগ গ্রামের বেলায়েত হোসেনের স্ত্রী সুমনা বেগম (৩৫), তার কন্যা খাদিজা আক্তার (৪), বরিশাল জেলার কামারপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের স্ত্রী আছমা আক্তার (৩৫) ও বরগুনা জেলার কোকায়ারঘাট এলাকার তোঁতা খার ছেলে ইমরান হোসেন (২০)।