টিভিতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি দেখার পর তা মুখস্থ করার আগ্রহ জাগে শিশু আফনান ভূইয়া নাবিলের। তারপর তার মা সৈয়দ আফজালুন্নেছা রুমীর তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ তিন বছর চেষ্টা করে অল্প অল্প করে সে পুরো ভাষণটি মুখস্থ করে। ভাষণ মুখস্থ করার পর স্থানীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তা পরিবেশন করে নাবিল বেশ প্রশংসা অর্জন করে।
শুধু প্রশংসাই নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতায় সে এই ভাষণ পরিবেশন করে পেয়েছে বহু পুরস্কার এবং সনদও। ২০১৮ সালের আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় সে এ ভাষণ পরিবেশন করে প্রথমে উপজেলা, জেলা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জনের পর ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে এবং পুরস্কৃত হয়।
বর্তমানে নেত্রকোনার কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফনান ভূইয়া নাবিল। ছেলে নাবিল ও মেয়ে নামিরা হক দৃষ্টিকে নিয়ে তাদের মা সৈয়দ আফজালুন্নেছা রুমী কেন্দুয়া পৌর শহরে বসবাস করেন। নাবিলের পিতা নাজিমুল হক ভূইয়া। তিনি স্থানীয় আঠারবাড়ি বাজারের একজন ব্যবসায়ী। আফনানদের স্থায়ী নিবাস কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা গ্রামে।
এ বিষয়ে শনিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আফনান ভূইয়া নাবিলের সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, আমি তখন খুবই ছোট। টিভিতে একদিন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি শোনার পর তা মুখস্থ করার ইচ্ছে জাগে। তারপর তা আমার মাকে বললে মা আমাকে একটু একটু করে ভাষণটি মুখস্থ করান। ভাষণ পুরোপুরি মুখস্থ আমার তিন বছর সময় লেগেছে। প্রায় বারো মিনিটের ওই ভাষণটি এখন আমি যেকোনো সময় মুখস্থ বলতে পারি এবং এ ভাষণটি পরিবেশন করে আমি বহু প্রশংসা ও পুরস্কার অর্জন করেছি।
আফনান ভূইয়া নাবিলের মা সৈয়দ আফজালুন্নেছা রুমীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ছেলে যখন ভাষণটি পরিবেশন করে তখন মা হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করি। এটি সাধারণ কোনো ভাষণ নয়। বিশ্বের যে কয়টি উল্লেখযোগ্য ভাষণ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি অন্যতম। ইতোমধ্যে ইউনেস্কো এ ভাষণটিকে শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যা আমাদের জন্য খুবই গর্বের।