গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নকে উপজেলা ঘোষণার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
শনিবার (৭ মার্চ) দুপুরে প্রস্তাবিত চণ্ডিপুর উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটি গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করে। পরে একই দাবিতে কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত পাঠ করেন সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সম্পাদক এবিএম নুরুল আখতার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গাইবান্ধা জেলার অন্তর্ভুক্ত সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। যার আয়তন ৪২৬.৫২ বর্গ কিলোমিটার। পশ্চিম এলাকার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং পূর্বে ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে কাপাসিয়া, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কঞ্চিবাড়ি, হরিপুর, শান্তিরাম ও ছাপড়হাটি। চণ্ডিপুর ইউনিয়নটি বর্তমান উপজেলার মধ্যস্থলে অবস্থিত এবং বাণিজ্যিক এলাকা।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা হেডকোয়ার্টার থেকে কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের দূরত্ব ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানভেদে তার চেয়েও দূরবর্তী হওয়ায় এই ৭টি ইউনিয়নের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রশাসনিক সহযোগিতা পাওয়া অত্যন্ত দুর্বিসহ হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ১৯৮৩ সালে উল্লেখিত ৭টি ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী চণ্ডিপুর ইউনিয়নকে উপজেলায় রুপান্তর করার জন্য আবেদন করা হয়। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রস্তাবিত চণ্ডিপুর উপজেলা নামকরণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার স্মারক নং ৪৭০/এল.জি, তারিখ-২৮/৮/১৯৮৪। উক্ত প্রতিবেদনের আলোকে একনেকে প্রস্তাবিত ‘চণ্ডিপুর উপজেলা’ বাস্তবায়ন করার আবেদন অনুমোদন করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ সদস্য মো. জামিউল আনছারী লিংকন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী মোস্তফা মাসুম, চণ্ডিপুর উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আ.ব.ম শরিয়ত উল্ল্যাহ, চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফুলমিয়া, চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের
সভাপতি মো. ফজলার রহমান সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।