গাইবান্ধা-৩ আসনটি জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। এ আসন থেকে টানা ছয়বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী। দশম সংসদে আসনটি হাতছাড়া হয় জাতীয় পার্টির, দখলে নেয় আওয়ামী লীগ। এরপর টানা দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার। তার মৃত্যুতে আসন্ন উপ-নির্বাচনে চমক দেখাতে চায় বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক সৈয়দ ডা. মইনুল হাসান সাদিক।
গাইবান্ধা-৩ থেকে ১৯৭৯ সালে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ড. আরএ গণি। এরপর গত ৩৮ বছরেও এ আসনটি দখলে নিতে পারেনি দলটি। তবে এবারের উপ-নির্বাচনে আসনটি দখলে চায় বিএনপি। সেই লক্ষ্যে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক সৈয়দ ডা. মইনুল হাসান সাদিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বিরামহীন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বসে নেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি। আসনটি যেন হাতছাড়া না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। ফলে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে প্রচারণা। প্রচারণায় তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন।
এছাড়া এ আসনে আরও দুই প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । তারা হলেন, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুমান ও জাসদের মশাল নিয়ে এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি।
ভোটাররা জানিয়েছেন, আসন্ন উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই দুই দলের মধ্যে কে হারবে, কে জিতবে এনিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু-শান্তিপুর্ণ ভোট নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পলাশবাড়ী উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়নের ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর মারা যান। পরে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। যার ফলে ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে উপ-নির্বাচন।