কুমিল্লায় মাস্কের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযানে চার দোকানকে বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও বিনামূল্যের ওষুধ বিক্রি করায় পৃথক ২টি ফার্মেসিকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (৯ মার্চ) বিকেলে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর কান্দিরপাড় ও বাদুরতলা এলাকায় এসব অভিযান পরিচালিত হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসব অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, ঢাকায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবরে কুমিল্লায় মাস্কের দাম ২ থেকে ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। করোনা আতঙ্কে বাধ্য হয়ে চড়া দামেই মাস্ক কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত দামে মাস্ক বিক্রির বিষয়টি ভোক্তা অধিকারকে জানান ক্রেতারা। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কোনো কিছুর দাম বাড়িয়ে দিলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, ভোক্তাদের অভিযোগ পেয়ে আমাদের তদারকিতে দেখা যায় গতকাল যে মাস্ক ৩৫ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে, তা আজ বিক্রয় করা হচ্ছে ৮০ থেকে ১৩০ টাকায়। ক্রয় ভাউচার দেখে ও উপস্থিত ক্রেতা সাধারণের সাথে কথা বলে বিষয়টি যাচাই করা হয়। প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও বিনামূল্যের ওষুধ বিক্রি করায় আরও ২টি ফার্মেসিকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।