নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে মাদক বিক্রেতা ও মাদকাসক্ত সন্তানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাবা-মা।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সহিদ উদ্দিন এস্কেন্দার কচি মিলনায়তনে ভুক্তভোগী বাবা মোবারক উল্যাহ ও মা পেয়ারা বেগম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এ সময় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই প্রবাস ফেরত মো. জসিম উদ্দিন, তার স্ত্রী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোবারক উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, তার ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর আলম মাদক বিক্রি ও সেবনসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে থানায়, কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নিজের নামে সোনাইমুড়ি উপজেলার ছনগাঁও গ্রামে ১০০ শতাংশের বেশি সম্পত্তি ছিল। কিন্তু ছোট ছেলেকে ভালো করতে এবং তার অত্যাচার থেকে বাঁচতে এ পর্যন্ত তাকে অর্ধেকেরও বেশি সম্পত্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তার অত্যাচার থেকে মুক্তি মিলছে না।
তিনি বলেন, স্থানীয় আরেক মাদক ব্যবসায়ী ভূয়া সাংবাদিক খোরশেদ আলম নামে এক ব্যক্তিসহ বাড়িতেই ইয়াবার ব্যবসা করে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে সে মোবারক উল্যাহর প্রবাস ফেরত বড় ছেলে জসিম উদ্দিনের ঘর দখল করে রেখেছে। তার বাড়ি ও বাহিরের ২১ শতাংশ কেনা সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছে।
সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩০-৩৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে বাবা-মা ও ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ এসেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তার অত্যাচার থেকে বাঁচতে প্রবাস ফেরত বড় ছেলে দুতাবাসের মাধ্যমে দেশে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। তিনি নিজেও বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়েছেন, কিন্তু এর কোনো প্রতিকার পাননি। ফলে বাধ্য হয়ে প্রতিকারের আশায় এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবী সন্তানের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ষাটোর্ধ্ব বাবা মোবারক উল্যাহ্।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস ছামাদ জানান, জাহাঙ্গীরের বিষয়ে পারিবারিক কিছু অভিযোগ আছে, মাদকের বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।