পাঁচ বছর পর সন্তানের কাছে ফিরলেন মা আমেনা বেগম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দেশের খবর

আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | 2023-08-30 07:20:40

ঢাকা থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মানসিক প্রতিবন্ধী নারী আমেনা বেগমকে (৫৫) খুঁজে পেয়েছেন তার সন্তানরা। দীর্ঘ সময় পর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শেষে ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন তিনি। আমেনা বেগম দেশে আসার পর পরই স্থলবন্দরের নোম্যানসল্যান্ডে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন পর সন্তানদের ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা আমেনা বেগম।

বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে আমেনা বেগমকে তার মেয়ের কাছে হস্তান্তর করেন ত্রিপুরাস্থ ভারতীয় সহকারী কমিশনের কর্মকর্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের নড়াইল জেলা সভাপতি সৈয়দ খাইরুল আলম প্রমুখ।

আমেনা বেগম ঢাকার তেজগাও ১নং রেলগেট রহমত আলম ইসলামিক মিশন এতিমখানা এলাকার মৃত মোখলেসুর রহমানের মেয়ে ও একই এলাকার মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী। ত্রিপুরার আগরতলাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সার্বিক সহযোগিতায় আমেনা বেগম দেশে ফিরে আসেন।

আমেনা বেগমের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীন আমেনা ঢাকার তেজগাঁও ইসলামিক মিশন এলাকা থেকে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে হারিয়ে যান। পরবর্তীতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্গত বিশালগড় থানা পুলিশ তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় উদ্ধার করে। ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট আগরতলার নরসিংগড় মর্ডান মানসিক হাসপাতালে ভারসাম্যহীন আমেনা বেগমকে হস্তান্তর করে পুলিশ। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করে তোলেন। 

আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আব্দুল হান্নান জানান, গত বছর ওই হাসপাতাল থেকেই বাংলাদেশের এক নারীকে দেশে আনা হয়। এ সময় ওই হাসপাতালে আসা সমাজকর্মী খায়রুল আলম মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর সঙ্গে কথা বলে আমেনা বেগমের পরিচয় নিশ্চিত হন। এরপর বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেন তিনি। সকল প্রক্রিয়া শেষ করে বুধবার স্বজনদের কাছে ওই নারীকে হস্তান্তর করা হয়।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা বার্তা২৪.কমকে জানান, পাঁচ বছর পরে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আমেনা বেগমকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে আমেনা বেগমের মেয়ে মোমেনা বেগম তাকে গ্রহণ করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর