নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের প্রবেশদ্বারে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। এটা সিটি করপোরেশনের জায়গা। সিটি করপোরেশন বলবে আমরা ফেলি না। আমি যখন ওই জায়গা দিয়ে যাই তখন গাড়ির গ্লাস বন্ধ করে ফেলি। সেখানে বর্জ্য ফেলার পর আবার আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুনের ফলে যে ধোঁয়া হচ্ছে এবং আশপাশে যেভাবে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তা করোনাভাইরাসের চেয়েও বেশি ভয়াবহ।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের পূর্বে দেওয়া বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘পরিছন্ন গ্রাম পরিছন্ন শহর’ কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী পরিছন্নতা কার্যক্রম করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আমি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে শিক্ষার্থীরা শুরুতেই ময়লা ও যানজটের কথা বলেন। রোড পারমিট নাই কিন্তু সড়কে গাড়ি চলছে। মানুষ ট্যাক্স দিবে কিন্তু মশার কামড় খাবে, ময়লার মধ্যে থাকবে এটা তো হতে পারে না। নারায়ণগঞ্জ শহরে কোনো শৃঙ্খলা নেই। সিটি করপোরেশনের সিও এখানে উপস্থিত আছেন, আমি তাকে অনুরোধ করবো আপনারা একটি উদ্যোগ নেন। প্রয়োজনে আমাদের বলেন, আমরা যানজট নিরসনসহ শহরের জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে জনগণের জন্য কাজ করবো। শুধু বলবেন কয় হাজার লোক প্রয়োজন।
বিশেষ বক্তার বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, পরিচ্ছন্ন গ্রাম পরিচ্ছন্ন শহর বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এখানে আসা। কিন্তু আসার পথেই নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে রাস্তার দুইপাশে আবর্জনার স্তুপ, এটাকে কিভাবে সরানো যায় তা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। আর যদি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এর সমাধান করতে না পারেন তাহলে এই ধরনের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে না।
একই অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের কাজ আইন তৈরি করে দেওয়া। এগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশনের। সিটি করপোরেশনের উপরে স্কুল মসজিদের কাজ ছাড়া অন্য কাজ করতে গেলে সেখানে আইনি জটিলতা রয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানটা তার (মেয়র)। আমাদের এখানে আসাটা অত দরকার ছিল না। ভদ্র মহিলাকে দরকার ছিল কিন্তু তিনি ডিসি কার্যালয়ে আসেন নাই। আমরা যদি আলোচনা করতে পারতাম তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু সুন্দর পরিকল্পনার কথা জানাতে পারতাম।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, নাসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এড. নুরুল হুদা প্রমুখ।