ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদি পৈত্রিক বাড়ি। এখানে বঙ্গবন্ধু শৈশব-কৈশোর কাটিয়েছেন, রেখে গেছেন নানা স্মৃতি। আর এজন্যই প্রতিদিন বাড়িটি দেখতে আসেন শত শত দর্শনার্থী। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে দেয়াল থেকে পলেস্তারা সরিয়ে আদি রুপে সাজানো হচ্ছে বাড়িটি।
জানা যায়, তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান জেলা) পাটগাতী ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে বসতি স্থাপন করেন বঙ্গবন্ধুর পূর্ব পুরুষেরা। পরে বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষ জমিদার শেখ কুদরতউল্লাহ বাড়িটি নির্মাণ করেন। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ এখানেই জন্মগ্রহণ করেন শেখ পরিবারের আদরের খোকা শেখ মুজিবুর রহমান। এই বাড়িতে বেড়ে ওঠেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব থেকে শুরু করে জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই বাড়ির সাথে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এই বাড়িটি। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘদিন ধরে বাড়িটি অবহেলিত ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বাড়িটি সংস্কার করা হয়। গত নভেম্বর মাস থেকে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাড়িটির দেয়ালের পলেস্তারা সরিয়ে আদি রূপে সাজানো হচ্ছে। সেখানে চুন-সুরকির সংমিশ্রণে পুরানো আদলে সংস্কার করা হচ্ছে। পাশাপাশি সিমেন্ট বালু দিয়ে নতুন করে পুরনো আদলে পলেস্তারা করা হচ্ছে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উপপরিচালক আমিরুজ্জামান পলাশ ও সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আহমেদ বাড়িটির কাজ তত্ত্বাবধান করছেন।
সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আহমেদ জানান, ৮ বছর পূর্বে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বাড়িটি সংস্কার করে। পরে বাড়িটি আদি রূপে ফিরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক বাড়িটি আদি রূপে সাজানো হচ্ছে।